অনরা ক্যান আছন, অনরাল্লাই পেট পুরেদ্দে : শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে বক্তব্যে শুরুতেই চট্টগ্রামের স্থানীয় ভাষায় বললেন, ‘অনরা ক্যান আছন, বেইয়াগগুণ গম আছননি? অনরাল্লাই পেট পুরেদ্দে চাইতো আসসি’ (আপনারা কেমন আছেন? সবাই ভালো আছেন? আপনাদের জন্য মন কাঁদছে, দেখতে আসছি)। তখন পুরো পলোগ্রাউন্ডে উপস্থিত নেতাকর্মীরা সমস্বরে ‘আরা ভালা আছি’ বলে জবাব দেয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শুরু করেন।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি সমাবেশে এসে উপস্থিত হন। এ সময় নেতাকর্মীদের দিকে হাত বাড়িয়ে অভিবাদন জানান তিনি। এর আগে একই দিন সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে নামেন। পরে সিআরবি হয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে আসেন তিনি। মাঠে এসেই চট্টগ্রাম কলেজ, সিটি কলেজসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং চার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্পর্কিত খবর
এদিকে সমাবেশ শুরুর আগেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে পলোগ্রাউন্ডে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পুরো ময়দান। ময়দানের বাইরে আশপাশের সড়কগুলোতেও বিপুল-সংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। ঢাক-ঢোল, বাজনার তালে তালে নেচে গেয়ে জনসভা মাঠে আসেন তারা। বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা গায়ে নানা রঙের রঙিন জামা, মাথায় ক্যাপ পরে আসেন। বিভিন্ন ইউনিটের রঙিন পোশাকের বর্ণিল রঙে সেজেছে পুরো মাঠ ও আশপাশের বিভিন্ন সড়ক।
পলোগ্রাউন্ড ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের নৌকা প্রতিকৃতির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বিরাট মঞ্চ। লাল-নীল, সবুজ, সাদা, হলুদসহ নানা রঙের বেলুনে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে পুরো মাঠ। নিরাপত্তার জন্য বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে কয়েক স্তরে ভাগ করা হয়েছে জনসভা মাঠকে। মঞ্চ ও মঞ্চের আশপাশের ব্লকগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।